ঘুড়ি
আবুল হোসেন
কবিতাটিতে যা বলা হয়েছে
ঘুড়ি ওড়ানোর খেলা ভারি মজার। হালকা বাতাসে নানা রঙের ঘুড়ি উড়তে উড়তে বনের মাথায় চলে যায়। সুতায় টান বাড়লে ঘুড়ি হয় টালমাটাল। তাকে তখন সহজে সামলানো যায় না। এক ঘুড়ির সুতো আরেকটির সুতোর সাথে প্যাঁচ লেগে কেটে যায়। কেটে যাওয়া ঘুড়ি কোথায় উড়ে গিয়ে কার হাতে পড়ে, তার খবর কেউ রাখে না।
বানানগুলো লক্ষ করি
গোধূলি, নীল, টালমাটাল, সাধ্যি, প্যাঁচ, হোঁচট, কৌশল।
পাঠ্যবই থেকে অনুচ্ছেদ -১৬
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
আকাশে ঘুড়িরা হোচট খায়।
সামলে তখন রাখা যে দায়,
উঠিছে নামিছে টালমাটাল।
ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল।
ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল,
সাধ্যি কী চিল পায় নাগাল।
প্যাচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়
আকাশের কোথা কোন কোণায়।
১। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। যে কোন ৫টি
সামলে, টালমাটাল, সাধ্যি, নাগাল, প্যাচ, হোচট, চাল
উত্তরঃ
শব্দ শব্দার্থ
সামলে সামাল দিয়ে।
টালমাটাল টলমল অবস্থা।
সাধ্যি সামর্থ্য।
নাগাল নৈকট্য।
প্যাচ মোচড়, পাক।
হোচট চলার সময় পা আটকে যাওয়া।
চাল কৌশল।
২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক) ঘুড়িকে সামলানোর দায় কেন? দুটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ সুতায় টান পড়লে আকাশে ঘুড়িরা হোট খায়। তখন ঘুড়িকে সামলানো দায় হয়ে পড়ে।
খ) কে ঘুড়ির নাগাল পায় না? কেন পায় না ? তিনটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ আকাশে উড়তে থাকা চিল ঘুড়িকে নাগাল পায় না। কারণ ছেলেমেয়েরা অনেক কৌশলে আকাশে ঘুড়ি উড়ায়। চিল ছেলেমেয়েদের ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল বুঝতে পারে না। তাই চিল ঘুড়িগুলোর নাগার পায় না।
গ) ঘুড়ি সম্পর্কে চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ ঘুড়ি সম্পর্কে চারটি বাক্য নিচে লেখা হলো-
১. ঘুড়ি হালকা বাতাসে আকাশে ওড়ে।
২. সুতায় টান পড়রে ঘুড়ি আকাশে হোচট খায়।
৩. ঘুড়ি হোচট খেলে টালমাটাল হয়ে উঠানামা করে।
৪. প্যাচ লেগে সুতা কেটে গেলে ঘুড়ি আকাশের কোনো এক কোণায় পালিয়ে যায়।
পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ-১৬
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
কৃষকেরা সোনালি ধান ঘরে তোলার পর মাঠ খালি পড়ে থাকে। বিশাল মাঠে তখন গ্রামের ছেলেমেয়েদের ঢল নামে। কেউ ঘুড়ি ওড়ায়। কেউ দাড়িয়াবান্ধা বা গোল্লাছুট খেলে। দুরন্ত বালকেরা খেলে ডাংগুলি। এ সময় খালি মাঠে বসে প্রজাপতির মেলা। বিশাল আকাশের নিচে রঙিন ঘুড়ি আর রঙিন প্রজাপতির মেলা দেখে শিশু কিশোরদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। মনে জাগে নতুন বিশ^াস।
৩. নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ শব্দার্থ
গোল্লাছুট বালক বালিকাদের ছোটাছুটির খেলা বিশেষ।
রঙিন রং বিশিষ্ট।
সোনালি সোনারমতো রং
বিশাল বিরাট।
দুরন্ত দামাল।
প্রজাপতি ্এক ধরনের পতঙ্গ।
ক) কৃষকেরা--------- ধান ঘরে তোলে।
খ) ছেলেমেয়েদের ঢল নামে--------- মাঠে।
গ) ছেলেমেয়েরা --------- খেলে।
ঘ) মাঠে রঙিন--------- উড়ছে।
ঙ) আকাশে উড়ে--------- ঘুড়ি।
উত্তরঃ ক) সোনালি খ) বিশাল গ) গোল্লাছুট ঘ) প্রজাপতি ঙ) রঙিন।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক) মাঠে ছেলেমেয়েদের ঢল নামে কেন? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ কৃষকরা ধান কাটার পর মাঠ খালি হয়ে যায়। ফসলনা থাকায় মাঠে যা ইচ্ছা করা যায। ছেলেমেয়েরা মাঠে যা ইচ্ছা করা যায়। ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলতে খুবই পছন্দ করে। সেখানে তারা একসঙ্গে অনেকে খেলতে পারে। এজন্য ই মাঠে ছেলেমেয়েদের ঢল নামে।
খ) কাদের মন আনন্দে ভরে ওঠে? তাদের মন আনন্দে ভরে ওঠার চারটি কারণ লিখ।
উত্তরঃ শিশু কিশোরদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। শিশু কিশোররা ফসলহীন বিশাল মাঠে ইচ্ছমতো খেলতে পারে। তারা সেখানে ইচ্ছেমতো হইচই করতে পারে। কেউ তাদের বাধা দেয় না। তাই খালি মাঠে খেলতে পেরে শিশু কিশোরদের মন আনন্দে ভরে ওঠে।
গ) ঘুড়ি ওড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ ঘুড়ি ওড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে পাচটি বাক্যে নিচে তুলে ধরা হলো।
১. ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য লম্বা সুতা ও নাটাই দরকার হয়।
২. ঘুড়ির সাথে সুতা বেধে একজনকে নাটাই ধরে রাখতে হয়।
৩. আরেকজন কিছু দুরে গিয়ে ঘুড়িটিকে উড়িয়ে দেয়।
৪. নাটাই থেকে সুতা ছাড়লে ঘুড়ি উড়তে থাকে।
৫. ঘুড়ি হালকা বাতাসে উড়তে পারে।
৬। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ( কে , কী, কোথায়, কীভাবে, কেন, কখন দিয়ে) প্রশ্ন তৈরি কর।
নী ল আকাশকে রঙিন করে দিয়ে ঘুড়িরা উড়ে বেড়ায়। প্রজাপতি আর পাখিরা হয় ঘুড়ির সঙ্গী। ঘুড়ির সুতোতে একটু টান পড়লে আকাশে ঘুড়িরা হোচট খায়। তখন ঘুড়ি ঘুরতে থাকে। ঘুড়িদের এই হোচট খাওয়া দেখে ছেলেমেয়েদের আনন্দের সীমা থাকে না।
উত্তরঃ
ক) ঘুড়ির সঙ্গী হয় কে?
খ) হোচট শব্দের অর্থ কী?
গ) আকাশে ঘুড়ি কীভাবে ওড়ে।
ঘ) ঘুড়ি হোট খেলে ছেলেমেয়েরা আনন্দিত হয় কেন?
ঙ) আকাশে ঘুড়িরা হোচট খায় কখন?
ঘুড়ি
আবুল হোসেন
অধ্যায় ভিত্তিক মডেল টেস্ট
শ্রেণি- তৃতীয়
পাঠ্যবই থেকে ব্যাকরণ অংশ
প্রশ্ন-১।নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
চ্ছ, ন্ধ, ন্দ, দ্র, স্ত।
প্রশ্ন-২। ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
উড়িছে, রাখিতে, বাড়িলে, সামলাইয়া, কাটিয়া।
প্রশ্ন-৩ নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ৫
হালকা, উঠছে, আলো, কঠিন, বাড়লে।
প্রশ্ন-৪ এককথায় প্রকাশ করঃ ৫
সূর্য ডোবার সময়, পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা, গাছপালা ভরা গভীর জঙ্গল, চলার সময় পা আটকে যাওয়া, বিচিত্র বর্ণে রঞ্জিতউত্তরঃ
উত্তরমালা
প্রশ্ন-১।নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
চ্ছ, ন্ধ, ন্দ, দ্র, স্ত।
উত্তর :
চ্ছ - চ + ছ - মায়ের কাছে আমার কিছু টাকা গচ্ছিত আছে।
ন্ধ - ন + ধ-জানালাটা বন্ধ করে দাও।
ন্দ - ন + দসারাক্ষণ ঘরে বন্দি থাকতে ভালো লাগে না।
দ্র - দ + র-ফলা ্র -ক্ষুদ্র পিঁপড়াও সময়ের মূল্য জানে।
স্ত = স + ত= - বাবা সমস্ত কাজ একাই করলেন।
প্রশ্ন-২। ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
উড়িছে, রাখিতে, বাড়িলে, সামলাইয়া, কাটিয়া।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
উড়িছে - উড়ছে
রাখিতে - রাখতে
বাড়িলে - বাড়লে
সামলাইয়া - সামলে
কাটিয়া - কেটে
প্রশ্ন-৩ নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ৫
হালকা, উঠছে, আলো, কঠিন, বাড়লে।
উত্তর :
শব্দ বিপরীত শব্দ
হালকা - ভারী
উঠছে - নামছে
আলো - অন্ধকার
কঠিন - সহজ
বাড়লে - কমলে
প্রশ্ন-৪ এককথায় প্রকাশ করঃ ৫
সূর্য ডোবার সময়, পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা, গাছপালা ভরা গভীর জঙ্গল, চলার সময় পা আটকে যাওয়া, বিচিত্র বর্ণে রঞ্জিতউত্তরঃ
উত্তরঃ সূর্য ডোবার সময়= গোধূলি, পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা= টালমাটাল। গাছপালা ভরা গভীর জঙ্গল=বন। চলার সময় পা আটকে যাওয়া= হোট। বিচিত্র বর্ণে রঞ্জিত= রঙিন
No comments:
Post a Comment