স্টিমারের সিটি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। অনেক দিন স্কুল ছুটি । মা বাবা এই ছুটিতে ঢাকার বাইরে কোথাও বেড়ানোর কথা বললেন। আমরা আনন্দে নেচে উঠলাম। ঠিক হলো আমরা নদীপথে চাদপুরে যাবো। নদীপথে ভ্রমনের নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করবো। বাবা জানালেন আমাদের ভ্রমন হবে রকেট স্টিমারে। এটিও আমাদের সকলের জন্য খুবই খুশির খবর। অনেকের কাছে গল্প শুনেছি রকেট স্টিমারে চড়ার মজাই আলাদা । শীতের সকাল আটটার মধ্যে আমরা ছোট ভাই তনু ও ছোট বোন নিনা। সাড়ে আটটায় ছাড়বে স্টিমার। স্টিমার ছড়ার আগেই আমরা নিচতলা ও দোতলায় ডেকে ঘুরে বেড়ালাম।
প্রশ্ন-১। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। যে কোন ৫টি
চড়া, শেষ, ভ্রমন, অভিজ্ঞতা, বার্ষিক, পরীক্ষা, স্টিমার
উত্তরঃ
শব্দ শব্দার্থ
চড়া আরোহরন করা।
শেষ সমাপ্তি, অবসান।
ভ্রমণ বেড়ানো
অভিজ্ঞতা দেখা ও জানার মাধ্যমে লাভ করা জ্ঞান।
বার্ষিক বছর বিষয়ক।
পরীক্ষা যাচাই।
স্টিমার বাষ্পশক্তি দ্বারা চালিত জলযান।
প্রশ্ন-২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক) চাদপুরে নদীপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কেন? দুটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ নদীপথে গেলে নানা ধরনের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। তাছাড়া নদীপথে ভ্রমনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় বলে নদীপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
খ) খবরটি সকলের জন্য খুশির ছিল কেন? চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ তুন ও নিনার বাবা মাঠিক করেছেন চাদপুরে যাওয়া হবে রকেট স্টিমারে চড়ে। এতে চারপাশের সকলদৃশ্য দেখা যাবে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হবে। তাই খবরটি সকলের জন্য খুশির ছিল।
গ) রকেট স্টিমারে চড়ার মজাই আলাদা কেন? চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ রকেট স্টিমারে চড়ার মজাই আলাদা কারণ রকেট স্টিমারে ভ্রমণ করলে নদীর দুই পাড়ের সুন্দরদৃশ্য চোখে পড়ে। সড়ক পথে গাড়িতে ভ্রমনের মতো যানজটের বিড়ম্বনা নেই। নদীপথে ভ্রমণে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করা যায।
তাছাড়া স্টিমারে ভ্রমণে ক্লান্তিও নেই।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
স্টিমারে চড়ে ভ্রমণ করতে মজা ভারি
আনন্দে মন নেচে উঠল
যাব মামার বাড়ি।
ভো ভো শব্দ তুলে ছুটল স্টিমার।
চিলেরা সব বেড়ায উড়ে
ব্যস্ত নদীর পাড়।
কেউ ধুচ্ছে কাপড় চোপড়
কেউবা গরুর গা
কেউবা আবার নৌকায় চড়ে
হাট বাজারে যায়।
৩। নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ শব্দার্থ
মজা আনন্দজনক।
আনন্দ সুখ, সন্তোষ।
স্টিমার ইঞ্জিচালিত জলযান।
ছুটল ছুটে চলল, ছেড়ে গেল।
চিল ্এক প্রকার পাখি।
ভ্রমন ঘুড়ে বেড়ানো।
ক) নদীর উপরে----------- উড়ে বেড়ায়।
খ) রেলগাড়ি----------- এবার।
গ) ----------- করতে কে না ভালোবাসে।
ঘ) মিণু----------- চড়ে দাদাবাড়ি যাবে।
ঙ) নদীতীরের দৃশ্য দেখে রাকিব খুব ----------- পায়।
উত্তরঃ ক. চিল. খ. ছুটল গ. ভ্রমন ঘ. স্টিমার ঙ. আনন্দ।
প্রশ্ন-৪। ব্যস্ত নদীর পাড় চরণটিতে কী ভাব ফুটে উঠেছে? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ ব্যস্ত নদীর পাড় চরণটিতে নদী পাড়ের ব্যস্ত পরিবেশের দৃশ্যপট ফুটে উঠেছে। নদীতে কেউ কাপড় ধুচ্ছে আবার কেউ গরুকে গোসল করাচ্ছে। ছেলেমেয়েরাও গোসল করছে। কোথাও আবার নৌকায় চড়ে মানুষ হাটবাজারে যায। এসব দৃশ্য নদীপাড়ের মানুষের ব্যস্ততাই ফুটে উঠেছে।
খ) আনন্দে মন নেচে ওঠার কারণ কী? পাচটি বাক্যে বুঝিয়ে লিখ।
উত্তরঃ বেড়াতে যাওয়ার কথায় মান আনন্দে নেচে উঠে। মামাবাড়ির বেড়াতে যেতে হবে। তাও আবার স্টিমারে চড়ে। নদীপথে যেতে যেতে দেখা যাবে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। তাই বেড়ানোর খবর শুনে মন আনন্দে নেচে ওঠে।
গ) স্টিমারে করতে মজা লাগে কেন? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ স্টিমারে ভ্রমন করতে মজা লাগে। কারণ-
১. নদীতীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যায।
২. জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায।
৩. নৌকায় চড়ে হাট বাজারে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
৪. নদীর পানির উপরে পাখি ওড়ার দৃশ্য দেখা যায়।
৫. নদীপাড়ের ব্যস্ততা দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
প্রশ্ন-৫। নিরেচ অনুচ্ছেদটি পড়ে ( কে, কী , কোথায়, কীভাবে, কেন, কখন দিয়ে ) প্রশ্ন তৈরি কর।
যেতে যেতে বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের দৃশ্য দেখচি আমরা। তারপর একসময় স্টিমার এলো মুন্সিগঞ্জে। দেখা গেল ধলেশ^র নদীর মোহনা। তারপর আরও একটু এগিয়ে দেখা গেল নারায়নগঞ্জ। পৌছে গেলাম শীতলক্ষ্য নদীর মোহনায়। স্টিমার এক সময় মেঘনা নদীতে পড়ল। দুই তীরের দৃশ্য আমাদের চোখ জুড়িয়ে গেল। একদিকে শ্যামল শস্যের বিস্তীর্ণ মাঠ আরেক দিকে দুরে গাছপালায় ঘেরা গ্রাম্ মাঝখানে নদীর বিপুল জলধারা।
উত্তরঃ
ক) বিপুল শব্দের অর্থ কী?
খ) কোথায় ধলেশ^রী নদীর মোহনা দেখা গেল?
গ) শীতলক্ষ্য নদীর মোহনায় তারা কীভাবে পৌছাল?
ঘ) দুই তীরের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল কেন?
ঙ) স্টিমার মেঘনা নদীতে এসে পড়ল কখন?
স্টিমারের সিটি
অধ্যায় ভিত্তিক মডেল টেস্ট
শ্রেণি- তৃতীয়
পাঠ্যবই থেকে ব্যাকরণ অংশ
প্রশ্ন-১। নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
জ্ঞ, শ্ব, ঞ্চ, প্ত, স্র, ল্প, ন্স।
প্রশ্ন-২। সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
ঠিক হলো আমরা নদীপথে চাঁদপুর যাব নদীপথে ভ্রমণের নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করব বাবা জানালেন আমাদের ভ্রমণ হবে রকেট স্টিমারে
প্রশ্ন-৩। এককথায় প্রকাশ কর।
ক) দেখা ও জানার মাধ্যমে লাভ করা জ্ঞান; খ) জাহাজের পরিচালক; গ) বিশেষভাবে খ্যাত; ঘ) যে স্থানে দুটি বস্তু একত্রে যুক্ত হয়; ঙ) নদীর তীরবর্তী বন্দর।
প্রশ্ন-৪। নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
খালি, ওঠা, ধীরে, অভিজ্ঞ, লাভ।
উত্তরমালা
প্রশ্ন-১। নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
জ্ঞ, শ্ব, ঞ্চ, প্ত, স্র, ল্প, ন্স।
উত্তর :
জ্ঞ = জ + ঞ - জিজ্ঞাসা - ছাত্রটি শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করল।
শ্ব = শ + ব-ফলা ( ¦ ) - বিশ্ববিদ্যালয়- আমার বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।
ঞ্চ = ঞ + চ-চঞ্চল - বাচ্চাটি খুব চঞ্চল।
প্ত = প + ত - সপ্তাহ - এক সপ্তাহ পর স্কুল খুলবে।
স্র = স + র-ফলা ( ্র ) - স্রোত - নদীর খুব স্রোত বইছে।]
প্রশ্ন-২। সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
ঠিক হলো আমরা নদীপথে চাঁদপুর যাব নদীপথে ভ্রমণের নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করব বাবা জানালেন আমাদের ভ্রমণ হবে রকেট স্টিমারে
উত্তর : ঠিক হলো, আমরা নদীপথে চাঁদপুর যাব। নদীপথে ভ্রমণের নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করব। বাবা জানালেন, আমাদের ভ্রমণ হবে রকেট স্টিমারে।
প্রশ্ন-৩। এককথায় প্রকাশ কর।
ক) দেখা ও জানার মাধ্যমে লাভ করা জ্ঞান; খ) জাহাজের পরিচালক; গ) বিশেষভাবে খ্যাত; ঘ) যে স্থানে দুটি বস্তু একত্রে যুক্ত হয়; ঙ) নদীর তীরবর্তী বন্দর।
উত্তর:ক)অভিজ্ঞতা;খ)কাপ্তান;গ)বিখ্যাত;ঘ) সংযোগস্থল; ঙ) নদীবন্দর।
প্রশ্ন-৪। নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
খালি, ওঠা, ধীরে, অভিজ্ঞ, লাভ।
উত্তর :
শব্দ বিপরীত শব্দ
খালি - ভরা/পূর্ণ
ওঠা - নামা
ধীরে - দ্রুত
অভিজ্ঞ- অনভিজ্ঞ
লাভ- ক্ষতি
No comments:
Post a Comment