ছবি ও কথা
আমাদের বন্ধুরা
রচনাটিতে যা বলা হয়েছে-
এ রচনাটিতে গাছের উপকিরতার কথা বলা হয়েছে। ফুল থেকে কীভাবে ফল হয তাও বলা হয়েছে। পাখি মৌমাছি পিপড়ে প্রজাপতি ফড়িং ইত্যাদি প্রাণী ফুল থেকে ফল ধরাতে সাহায্য করে। তাই এসব প্রাণী খুব উপকারী। আমাদের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু হলো গাছ। গাছপালা থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বেচে থাকি।
কঠিন বানানগুলো বার বার খাতায় লিখি-
লাউ, অপরুপ, শালিক, শিম, কীটপতঙ্গ, মুকুল, মৌমাছি, পিপড়ে, ঠোট, রেণু, পরিণত, বন্ধুত্ব, অক্সিজেন, ফড়িং, প্রজাপতি, সীমানা।
পাঠ্যব্ই থেকে অনুচ্ছেদ-১
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১,ও ২নম্বরে ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
বাড়ির পাশে সবজি বাগানের একদিকে আছে লাউ। লাউয়ের মাচায় ঝুলছে লাউ। সবুজ পাতার মধ্যে দুলছে সাদা ফুল। শিমের মাচার উপর শিম। শিমের অপরুপ সুন্দর সাদা ও বেগুনি ফুল। চুড়াই শালিক মাচার উপর উড়ছে। মাচার পাশের নেগুনখেতেও ফুলে ভরা। টুনটুনি পাখি ফুলের উপর উড়ছে। হলুদ ও সাদা প্রজাপতি আর লাল ফড়িং উড়াউরি করছে। ঐশী আর ওমর যেমন অবাক তেমনি খুশি । খালু বললেন, পাখিরা শস্যদানা ও কীটপতঙ্গ খায়। অনেক পাখি আবার মধুও ভালোবাসে। ওরা দেখল আমগাছের ডালে বড় একটা মৌচাক। খালুর কাছে শুনল মৌমাছি পিপড়ে ও পাখিরা গাছের অনেক উপকার করে।
প্রশ্ন-১।নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
মাচা, অপরুপ, অবাক, মৌচাক, উপকার,।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
মাচা - বাশ বা কাঠ দিয়ে তৈরি উচু স্থান
অপরুপ - অতুলনীয়
অবাক - বিস্মিত
মৌচাক - মৌমাছির বাসা
উপকার - কারো ভালো করা
প্রশ্নঃ ২ নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লিখ।
ক. লাউ ফুলের রং কী?
উত্তরঃ লাউ ফুলের রং সাদা
খ. পাখিরা কীকী খায়। দুটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ পাখিরা শস্যদানা ও কীটপতঙ্গ খায়। অনেক পাখি মুধ খেতে ভালোবাসেন।
গ. পাখিরা কীভাবে গাছের উপকার করে? দুটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ অনেক কীটপতঙ্গ গাছের ক্ষতি করে। পাখিরা এসব কীটপতঙ্গ খেয়ে গাছের উপকার করে।
পাঠ্যবই বহির্ভূত-অনুচ্ছেদ-১
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
রীমা ও রাসেল গ্রীষ্মের ছুটিতে মামা বাড়িতে বেড়াতে যায়। মামা তাদেরকে তার খামার ওবাগান দেখাতে নিয়ে যান। সেখানে গোয়াল ঘরে বেশ কটা গরু দেখতে পায় তারা। একটা ছাগলকে ঘিরে ছাগল ছানাদের লাফালাফি করতে দেখে। বাশেরমাচায় কাঠের তৈরি ঘরে এক ঝাক কবুতর বাকবাকুম করছিল। মামার বাগানে দেখতে পায় হরেক রকম গাছ যার বেশির ভাগই ছিল ঔষধি। মামা বললেন নিম বাসক অজূর্ন হরীতকী, বহেরা, তুলসী পাথরকুচী ইত্যাদি গাছ আমাদের নানাভাবে উপকার করে। গাছ আমাদের অক্সিজেন দান করে যা ছাড়া আমরা বাচতে পারি না। তাই আমাদের গাছে প্রতি যতœশীল হতে হবে। অধিক পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে।
প্রশ্নঃ ৩ নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো
শব্দ শব্দার্থ
গোয়াল গরুর ঘর
যত্ন সেবা, আদর
ঝাক পাখি, পতঙ্গ বা মাছের দল।
হরেক নানা ধরনের
অধিক অনেক, বেশি
ঔষিধ ঔষধের গুণ আছে এমন
ক. নিজের শরীরের------ নিতে হবে।
খ. বাজারে------ রকমের মাছ উঠেছে।
গ. লেখাপড়ায়------মনোযোগী হওয়া দরকার।
ঘ. বাবা------ ঘরে কাজ করছেন।
ঙ. এক------ পাখি গাছটিতে এসে বলল।
উত্তরঃ ক. যতœ, খ. হরেক, গ. অধিক, ঘ. ঘোয়াল
প্রশ্নঃ ৪ নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক. রীমা ও রাসেলের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা পাচটি বাক্যে লিখ?
উত্তরঃ রীমা ও রাসেল বেড়াতে গিয়ে নানা রকম পশুপাখি ও গাছপালা দেখতে পেল। খামারে গিয়ে তারা দেখল গরু ও ছাগল। সেখানে তারা খাচার উপরে এক ঝাক কবুতর ও দেখতে পেল। এছাড়া মামার কাছে থেকে নিম বাসক অর্জূন হরীতকী ইত্যাদি গাছ সম্পকে জানতে পারল। তারা জানতে পারল এসব গাছের বেশির ভাগই ঔষধি।
খ. আমাদের অধিক পরিমানে গাছ লাগতে হবে কেন? ৫টি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ গাছ আমাদের অনেক উপকার করে। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বেচে থাকতে পারি না। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। এছাড়া গাছ থেকে আমরা ফল কাঠ ইত্যাদি পাই। তাই আমাদের বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
গ. ঔষধি গাছ কী? তোমার জানা ৪টি ঔষুধি গাছের নাম লিখ।
উত্তরঃ যেসব গাছের ফল বীজ শিকড় বা বাকলে ঔষদের গুন রয়েছে সেসব গাছকে ঔষধি গাছ বলে। আমার জানা ৪টি ঔষধি গাছ হলো নিম, তুলসী, আমলকী ও বহেরা।
প্রশ্ন-৫ নতুন যোগ হয়েছে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ( কে , কী , কোথায়, কীভাবে, কেন. কখন দিয়ে ) প্রশ্ন তৈরি কর।
বাগানের কাছে গিয়ে সীমা আপাল গাছ আমাদের অনেক উপরকার করে। একটু ভেবে বলো তো কীভাবে? ঐশী খুশিতে হাততালি দিল। বলল আমি জানি আমরা তো গাছথেকে কতো রকমের খাবার পাই। খড়ি আর কাঠও পাই। খালু বললেন ঠিক তাই।তবে গাছ আমাদের বেশি উপকার করে অক্সিজেন দিয়ে। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাচতে পারি না।
উত্তরঃ
ক) খুশিতে কে হাততালি দিল?
খ) আমরা কী ছাড়া বাচতে পারি না?
গ) কোথায় গিয়ে সীমা আপা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বলল?
ঘ) গাছ আমাদের কীভাবে উপকার করে?
ঙ) ঐশী হাততালি দিল কেন?
ছবি ও কথা
আমাদের বন্ধুরা
অধ্যায় ভিত্তিক মডেল টেস্ট
শ্রেণি- তৃতীয়
পাঠ্যবই থেকে ব্যাকরণ
প্রশ্নঃ ১ নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
প্র, চ্ছ, ঙ্গ, ক্স।
প্রশ্নঃ ২ সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ। 0৫
ঐশী আর ওমর যেমন অবাক তেমনি খুশি খালু বললেন পাখিরা কীট পতঙ্গ খায়
প্রশ্নঃ৩ এক কথায় প্রকাশ করোঃ 0৫
পান করা যোগ্য, মৌমাছির তৈরি যে চাক, পাখির কলরব, বাশ. কাঠ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি উচু স্থান, কীট ও পতঙ্গ।
প্রশ্ন-৪ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। 0৫
দুলিতেছে, বলিলেন, দেখাইবেন, খাইবে, শুনিল।
উত্তরমালা
প্রশ্নঃ ১ নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
প্র, চ্ছ, ঙ্গ, ক্স।
উত্তর :
যুক্তবর্ণ ভেঙে দেখা শব্দ গঠন বাক্যে প্রয়োগ
প্র= প + র-ফলা ্র . প্রাণী গরু খুব শান্ত প্রাণী।
চ্ছ= চ+ ছ কচ্ছপ কচ্ছপ খুব ধীরে চলে।
ঙ্গ= ঙ+ গ অঙ্গ আমার সারা অঙ্গে ব্যথা।
ক্স= ক + স বাক্স বাক্সটি খেলনায় ভরা।
প্রশ্নঃ ২ সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ। ঐশী আর ওমর যেমন অবাক তেমনি খুশি খালু বললেন পাখিরা কীট পতঙ্গ খায়
উত্তর : ঐশী আর ওমর যেমন অবাক, তেমনি খুশি। খালু বললেন, পাখিরা কীট-পতঙ্গ খায়।
প্রশ্নঃ ৩ এককথায় প্রকাশ করোঃ ৫
পান করা যোগ্য, মৌমাছির তৈরি যে চাক, পাখির কলরব, বাশ, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি উচু স্থান, কীট ও পতঙ্গ।
উত্তরঃ
পান করা যোগ্য- পানীয়
মৌমাছির তৈরি যে চাক- মৌচাক
পাখির কলরব- কৃজন
বাশ কাঠ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি উচু স্থান- মাচা
কীট ওপতঙ্গ- কীটপতঙ্গ।
প্রশ্ন-৪ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
দুলিতেছে, বলিলেন, দেখাইবেন, খাইবে, শুনিল।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
দুলিতেছে দুলছে
বলিলেন বললেন
দেখাইবেন দেখাবেন
খাইবে খাবে
শুনিল শুনল
No comments:
Post a Comment