কাজী নজরুল ইসলাম
কবিতাটিতে যা বলা হয়েছে-
কবি তরুনদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন। তরুণেরা সকল অন্ধকার দুর করে রাঙা ভোর নিয়ে আসবে। নতুনের জয়গান গেয়ে সব কিছু সজীব করে তুলবে। সকল বাধাকে জয় করবে। সকল অসম্ভবকে সম্ভব করবে তারা।
কঠিন বানানাগুলো বার বার খাতায় লিখিঃ
ঊর্ধ্ব, গগন, নিম্ন, ধরণী, অরুণ, প্রাতের, তরুণ, ঊষা, রাঙা, প্রভাত, টুটাব, বিন্ধ্যাচল, নবীন, সজীব, মহাশ্মাশান, প্রাণ।
পাঠ্যবই থেকে অনুচ্ছেদ -৬
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তরদাও
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনদের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
আমরা দানিব নতুন প্রাণ,
বাহুতে নবীন বলে।
্রপ্রশ্নঃ ১ টুটাকা, তিমির, বিন্ধচ্যাল, সজীব, প্রভাত. নবীন, শ্মশান।
উত্তরঃ
শব্দ শব্দার্থ
টুটাব ভাঙব।
তিমির অন্ধকার।
বিন্ধ্যাচল
বিন্ধ্যা পর্যন্ত।
সজীব সতেজ।
প্রভাত সকাল।
নবীন নতুন।
শ্মশান মৃতদেহ পোড়ানের স্থান।
্রপ্রশ্নঃ ২নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক) কবিতাংশের বাধার বিন্ধ্যাচল টুটানোর কথা বলা হয়েছে কেন? দুটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ পাহাড়ের মতো উচু বাধাকেও তরুণরা জয় করতে পারে। এজন্যই বিন্ধ্যা নামক পাহাড় টুটানোর কথা বলা হয়েছে।
খ) তরুণরা নব নবীনের গান গাইবে কেন? চারটি বাক্যেলিখ।
উত্তরঃ তরুণরা পারে সব বাধা অতিক্রম করতে। তারা পুরাতনকে ভেঙে নতুনকে গড়ার স্বপ্ন দেখে। মহাশ্মশানে প্রানের আনন্দ নেই। তাই মহাশ্মশানকে সজীব করে তুলতে তরুনেরা নব নবীদের গান গাইবে।
গ) আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল বলতে কী বোঝায় হয়েছে? চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ তরুনেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা অন্ধাকর দুর করে নতুন সকাল নিয়ে আসতে চায়। পাহাড় সমান বাধা এলেও তারা তা ডিঙিয়ে যাবে। এভাবেই তারা সবকিছুই জয় করতে চায়।
পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ -৬
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুদের বসবাসের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়তে হবে। আমাদের চারপাশে কেবল বাধা বিপত্তি আর অন্ধকার। অশিক্ষা আর কৃসংস্কারের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আমাদের এই সব বাদা পার হতে হবে। এজন্য দরকার শক্তি বুদ্ধির আর সাহস। তরুণদের সে সাহস আছে। তারাই পারবে বাধার পাহাড়কে ধ্বংস করে নতুন বিশ্ব গড়তে। তারাই পৃথিবীকে সুন্দর ও বসবাসের উপযোগী করে তুলবে।
প্রশ্নঃ ৩ নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো । উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পুরণ করোঃ
শব্দ শব্দার্থ
কুসংস্কার ভুল বিশ্বাস
আগামী সামনের দিকে
অন্ধকার আধার
বিপত্তি বিপদ. বাধা
শক্তি বল
ঊষা ভোরবেলায় সুর্য
অশিক্ষা যার শিক্ষা নেই
ক. চারদিকে ঘুটঘুটে---------।
খ, আমরা সকল--------- পেরিয়ে যাব।
গ. --------- কাল স্কুল বন্ধ।
ঘ. আমরা --------- বিশ্বাস করি না।
ঙ. মনের --------- দিয়ে আমরা বিশ্ব জয় করব।
চ) -------- মানুষকে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।
উত্তরঃ ক. অন্ধকার খ. বিপত্তি গ. আগামী ঘ. কুসংস্কার, ঙ. শক্তি চ) শিক্ষা
প্রশ্নঃ ৪ নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ক. নতুন বিশ্ব গড়তে হলে কী করতে হবে? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে আমাদের আগে কুসংস্কার ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষিত হতে হবে শক্তি অর্জন করতে হবে । এজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সব বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে । তাহলে নতুন পৃথিবী গড়া যাবে।
খ. বাধার পাহাড় বলতে কী বোঝায় হয়েছে? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ আমাদের চারপাশে শুধু বাধা। অশিক্ষার বাধা অজ্ঞানতার বাধা ভয়ের বাধা দুর্বলতার বাধা কুসংস্কার বাধা । এসব বাধার কারনে সুন্দর একটি পৃথিবী গড়া যাচ্ছে না। এসব বাধা পাহাড়ের মতো পথ আগলে রাখে। তাই এই সব বাধাকে বাধার পাহাড় বলা হয়েছে।
গ. আজকের শিশুই ভবিষ্যতের কর্ণধার কথাটি পাচটি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শিশুরা বড় হয়ে একদিন সকল কাজে নেতৃত্ব দেবে তারা সবুজ সুন্দর পৃথিবী তৈরি করবে। তারা বড়হয়ে সকল বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবে। নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে। এজন্য আজকের শিশুকে ভবিষ্যতের কর্ণধার বল াহয়েছে ।
প্রশ্নঃ ৬ নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে (কে, কে, কোথায় কখন, কীভাবে, কেন , দিয়ে ) প্রশ্ন তৈরি করঃ
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্ন উতলা ধরনী তল,
অরুন প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল চল চল।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত.
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
উত্তরঃ
ক) তিমির রাত টুটাবে কে?
খ) অরুণ শব্দের অর্থ কী?
গ) মাদল কোথায় বাজে?
ঘ) তরুন দল কীভাবে চলে?
ঙ) তরুণরা উষার দুয়ারে আঘাত হানবে কেন?
চল্ চল্ চল্
কাজী নজরুল ইসলাম
অধ্যায় ভিত্তিক মডেল টেস্ট
শ্রেণি- তৃতীয়
পাঠ্যবই থেকে ব্যাকরণঅংশ
প্রশ্নঃ ১ নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
ধ্ব, প্র, ন্ধ, শ্ম, ব্দ।
প্রশ্নঃ ২ ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
চলিতেছে, গাহিয়া, দানিব, আনিয়াছি, হানি।
প্রশ্নঃ ৩ নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। ৫
গগন, ধরণী, রাত, প্রভাত, নবীন।
প্রশ্নঃ ৪ বিপরীত শব্দ লিখঃ ৫
ঊর্ধ্ব, সজীব , নতুন, রাত , নবীন
উত্তরমালা
প্রশ্নঃ ১ নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
ধ্ব, প্র, ন্ধ, শ্ম, ব্দ।
উত্তর :
ধ্ব=ধ + ব-ফলা ^ . ধ্বনি নদীর কুলুকুলু ধ্বনি খুব মনোহর।
প্র = প + র-ফলা ্র . প্রমাণ ঘটনাটির কোনো প্রমাণ নেই।
ন্ধ = ন + ধ বন্ধুসুমন রাতুলের ভালো বন্ধু।
শ্ম = শ + ম-ফলা ¥ . শ্মশান নদীর ধারে শ্মশান ঘাট।
ব্দ = ব + দ শব্দ ক দিয়ে একটি শব্দ লেখ।
প্রশ্নঃ ২ ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
চলিতেছে, গাহিয়া, দানিব, আনিয়াছি, হানি।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
চলিতেছে চলছে
গাহিয়া গেয়ে
দানিব দান করব
আনিয়াছি এনেছি
হানি হেনে
প্রশ্নঃ ৩ নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। ৫
গগন, ধরণী, রাত, প্রভাত, নবীন।
উত্তর :
শব্দ সমার্থক শব্দ
গগন আকাশ, আসমান।
ধরণী পৃথিবী, বসুন্ধরা।
রাত রাত্রি, নিশি।
প্রভাত সকাল, প্রাত।
নবীন নব, নতুন।
প্রশ্নঃ ৪ বিপরীত শব্দ লিখঃ ৫
ঊর্ধ্ব, সজীব , নতুন, রাত , নবীন
উত্তরঃ
ঊর্ধ্ব- নিম্ন
সজীব- নির্জীব
নতুন- পুরাতন
রাত- দিন।
নবীন-প্রবীন
No comments:
Post a Comment