রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিতাটি যা বলা হয়েছে-
কবিতাটিতে তালগাছের মনের কথা বলা হয়েছে। তালগাছ সব গাছ ছাড়িয়ে একপায়ে দাড়িয়ে থাকে। তা দেখে কবিরমনে হয়েছে গাছটি আকাশে উড়ে যেতে চায়। কিন্তু তার তো পাখির মতো ডানা নেই। বাতাস শুরু হলে নিজের পাতাগুলোকে ডানা মনে করে গাছটি উড়াল দিতে চায়। তার পর হাওয়া থেমে গেলে আবার তার মাটির কথা মনে হয় । তখন পৃথিবীকে খুব ভালো লাগে তালগাছের।
পাঠ্যবই থেকে অনুচ্ছেদ -৯
নচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।
মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়,
একেবারে উড়ে যায়
কোথা পাবে পাখা সে।
তাই তো সে ঠিক তার মাথাতে
গোল গোল পাতাতে
ইচ্ছাটি মেলে তার
মনে মনে ভাবে বুঝি ডানা এই,
উড়ে যেতে মানা নেই
বাসাখানি ফেলে তার।
প্রশ্নঃ ১নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
ফুঁড়ে, সাধ, উঁকি, মানা, কোথা, ইচ্ছা, পাখা।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
ফুঁড়ে ছিদ্র করে।
সাধ ইচ্ছা।
উঁকি আড়াল থেকে দেখা।
মানা নিষেধ।
কোথা কোথায়।
ইচ্ছা - বাসনা।
পাখা - ডানা।
প্রশ্নঃ ২ নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) তালগাছের মনে কী সাধা জাগে? দুটি বাক্যে লেখ।
উত্তরঃ তালগাছ একপায়ে দাড়িয়ে সবগাছ ছাড়িয়ে আকাশে উকি মারে। তার মনে সাধ জাগে কালো মেঘ ফুড়ে আকাশে উড়ার।
খ) এক পায়ে দাড়িযে আকাশে উকি মারে কে? নিজের বাসা ফেলে কে উড়তে চায়। তিনটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ এক পায়ে দাড়িয়ে আকাশে উকি মারে তালগাছ। তালগাছ নিজের বাসা ফেলে আকাশে উড়তে চায়। কারণ আশাপাশের সবগাছ ছাড়িয়ে সে আকাশে উকি মেরে দেখে তার সৌন্দর্য। তাই সে তার গোল গোল পাতার ডানায় ভর করে নিজের বাসা ফেলে আকাশের কালো মেঘ ফুড়ে উড়ে যেতে পারে।
গ) পৃথিবীর কোণটিকে কখন ভালো লাগে তালগাছের? চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ যখন বাতাস থেকে যায় তখন তালগাছের পাতাকাপাও থেমে যায়। তখনই তারমন মাটির কাছে ফেরে। এ সময তালগাছ মাটিকে তারমা বলে ভাবে। আর তখনই পৃথিবরি কোণটিকে ভালো লাগে তালগাছের।
পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ-৯
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ পাঠ্যবইয়ের বহির্ভূত.
খোকন সোন পাখি হবে
সকাল সন্ধ্যা কিচির মিচির গান সে গাবে
নীর গগণে ডানা মেলে উড়বে সারাক্ষণ
পাখিহবে পাখিই হবে এই করেছে পণ।
মা শুধাল পাখি হয়ে উড়ে যাবি সুদুর কোন দূরে।
আমায় ছেড়ে একলা একা থাকবি কেমন করে?
খোকা বলে যাচ্ছি না মা কোথাও না থাকব তোমার কাছে
তোমার প্রাণের সাথে আমার প্রাণ যে গাথা আছে।
প্রশ্নঃ ৬নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পুরণ কর।
শব্দ শব্দাথ
প্রাণ জীবন
নীল রংবিশেষ
সুদূর অনেক দুর
একলা একাকী
গগনে আকাশে
শুধাল জিজ্ঞাসা করল
ডানা পাখা
ক. আবির একটি ---------- পেন্সিল কিনেছে।
খ. আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য অনেক মানুষ---------- দিয়েছেন।
গ. নীল---------- মেঘ ভেসে বেড়ায়।
ঘ. ----------ঢাকা থেকে মামা এসেছেন।
ঙ.. অন্ধকারে----------থাকতে ভয় করে।
চ) পাখির দুটি ------------- থাকে।
উত্তরঃ ক. নীল খ. প্রাণ গ. গগনে ঘ. সুদূর ঙ. একলা চ) ডানাা
প্রশ্নঃ ৪নিচের প্রশ্নগুলোর উত্ত রদাওঃ
ক. খোকার সোনা মাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না কেন? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ খোকন সোনা পাখি হয়ে দূরে যেতে চায়। কিন্তু সে মাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। মাকে ছেড়ে দূরে কোথাও সে যাবে না। কেননা মাকে ছাড়া সে এক মুর্হূতও থাকতে পারবে না। মায়ের প্রানের সাথে তার প্রাণ গাথা। তাই সে মাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।
খ. খোকন পাখি হতে চায় কেন? পাচটি বাক্যে লিখ।
উত্তরঃ পাখিরা মনের খেয়াল খুশি মতো উড়ে বেড়ায়। খোকনের ইচ্ছা পাখি হবার। সে পাখির মতো ডানা মেলে নীল আকাশে উড়ে বেড়াবে। সকাল সন্ধ্যা পাখির মতোই মধুর সুরে গান গাইবে। এ কারণেই খোকন পাখি হতে চায়।
গ. তোমার প্রাণের সাথে আমার প্রাণ যে গাথা আছে কথাটি পাচাটি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পৃথিবীতে মায়ের ¯েœহের কোনো তুলনা নেই। মা সন্তানকে নিজের প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। সন্তানের কাছেও মা সবচেয়ে আপনজন। অুনচ্ছেদে মায়ের প্রতি এরকম ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। এ জন্যই খোকা মাকে প্রশ্ন্ােক্ত কথাটি বলেছে।
প্রশ্নঃ ৫ নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ( কে, কী, কোথায়, কীভাবে, কেন, কখন, কীভাবে দিয়ে ) প্রশ্ন তৈরি কর।
ঐ দেখা যায় তা
ঐ আমাদের গা।
ঐখানেতে বাস করে
কানাবগির ছা।
ও বগি তুই খাস কী?
পান্তা ভাত চাস কী
পান্তা আমি খাই না
পুটি মাছ চাই না।
একটা যদি পাই।
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।
উত্তরঃ
ক) কে পুটিমাছ ধরে খায়?
খ) কানাবগির ছা কী খায়?
গ) আমাদের গা কোথায়?
ঘ) কানাবগি পুটিমাছ কীভাবে খায়?
ঙ) কানাবগি পান্তা খায় না কেন?
তালগাছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অধ্যায় ভিত্তিক মডেল টেস্ট
শ্রেণি- তৃতীয়
পাঠ্যবই থেকে ব্যাকরণ অংশ
প্রশ্নঃ ১নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
ন্দ্র, চ্ছ, ত্ত, পৃ, ত্থ।
প্রশ্নঃ ২ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
পাইবে, কাঁপিয়া, মেলিল, উড়িতেছে, এড়াইয়া।
প্রশ্নঃ ৩ একথায় প্রকাশ করঃ ৫
কোকিলের ডাক, যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে, কল্পনা করা যায় না এমন, রাজার পুত্র, কষ্টে লাভ করা যায় যা।
প্রশ্নঃ ৪নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ৫
ঠিক, দিন, নামা, থামা, ভালো।
উত্তরমালা
প্রশ্নঃ ১নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ১০
ন্দ্র, চ্ছ, ত্ত, পৃ, ত্থ।
উত্তর :
ন্দ্র = ন + দ + র-ফলা ্র তন্দ্রা
চ্ছ = চ + ছগুচ্ছ
ত্ত = ত + তপ্রশ্নের উত্তরদাও
পৃ = প + ঋ-কার ৃ দুিট অঙ্ক পৃথক।
ত্থ = ত + থ জীবনে উত্থান পতন হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ২ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। ৫
পাইবে, কাঁপিয়া, মেলিল, উড়িতেছে, এড়াইয়া।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
পাইবে পাবে
কাঁপিয়া কেঁপে
মেলিল মেলল
উড়িতেছে উড়ছে
এড়াইয়া এড়িয়ে
প্রশ্নঃ ৩ একথায় প্রকাশ করঃ ৫
কোকিলের ডাক, যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে, কল্পনা করা যায় না এমন, রাজার পুত্র, কষ্টে লাভ করা যায় যা।
উত্তরঃ
কোকিলের ডাক- কুহু
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে- কৃতজ্ঞ
কল্পনা করা যায় না এমন- অকল্পনীয়
রাজার পুত্র- রাজপুত্র
কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ
প্রশ্নঃ ৪নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ৫
ঠিক, দিন, নামা, থামা, ভালো।
উত্তর :
শব্দ বিপরীত শব্দ
ঠিক ভুল
দিন রাত
নামা ওঠা
থামা চলা
ভালো মন্দ
No comments:
Post a Comment